১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সরকার গঠন করতে পারলে ড. ইউনূসকে পাশে চায় বিএনপি

নিজেস্ব প্রতিবেদক

সরকার গঠন করতে পারলে নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। তাকে পাশে চাওয়ার আগ্রহের বিষয়টি ইতোমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার লন্ডন বৈঠকের পর বলা চলে অধ্যাপক ইউনূস ও বিএনপির মধ্যে আস্থার সম্পর্ক বিরাজ করছে। বৈঠকের শুরুতেই ড. ইউনূস এবং তারেক রহমান উভয়েই হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে সচেষ্ট ছিলেন। দুজনই আন্তরিক ছিলেন। বৈঠক শুরুর আগে দুজনের কথোপকথনের দিকে তাকালেই তা সহজেই বোঝা যায়।

এ সময় তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার কাছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সালাম পৌঁছে দেন। বলেন, ‘আম্মা সালাম জানিয়েছেন।’ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘উনাকেও আমার সালাম দেবেন।’

লন্ডনে অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক শেষে দেওয়া যৌথ বিৃবতিতে জানানো হয়েছে, ২০২৬ সালের রমজানের আগেই বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্য ওই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এ বৈঠকের পর বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনমুখী। সরকার গঠন করতে পারলে ড. ইউনূসকে পাশে চায় বিএনপি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ আছে। বিএনপিকে জনগণ যদি ভোট দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনে, তাহলে অবশ্যই দেশের জন্য ড. ইউনূসকে কাজে লাগানো হবে। দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এ ব্যাপারে তার পরামর্শ নেওয়া হবে। এরকম আরও যারা আছেন তাদের মতামত নিয়ে কাজ করতে চান তারেক রহমান। লন্ডন বৈঠকে এ প্রস্তাব দিয়েছেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

এ প্রসঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ যুগান্তরকে বলেন, আগামীতেও আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সহযোগিতা চাই, যা উনাকে জানানো হয়েছে। জনগণ যদি বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় দায়িত্ব দেয়, তাহলে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি, সুষ্ঠু ও গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতি চর্চার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার জন্য তাকে পাশে পাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা হাসিমুখে এ প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন কিনা জানি না, তবে তিনি মনে হয় এর গুরুত্ব অনুধাবন করবেন।

অন্যদিকে বিদেশিদের তৎপরতাও বাংলাদেশের নির্বাচনকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। বিভিন্ন ফোরামে তারা এ প্রসঙ্গে কথা বলছেন, নিজেদের মতামত তুলে ধরছেন। আগামী সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক তথা গ্রহণযোগ্য হয়, তা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তারা জানাচ্ছেন তাদের দেশের আগ্রহের কথা। এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকও করছেন। প্রতিটি বৈঠকেই বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা বোঝার চেষ্টা করছেন-আগামী নির্বাচন কেমন হতে পারে, কোন দলের কৌশল কী হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোরও চলছে নানা তৎপরতা। ১৭ জুন ঢাকায় মার্কিন একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক করার কথা রয়েছে। এছাড়া ২৪ অথবা ২৫ জুন চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে রয়েছেন-দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরউদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়াসহ নয়জন।

চীনা সরকারসহ কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দিতে এই সফর, এমনটি বলছে বিএনপি। এরপর জামায়াতসহ আরও কয়েকটি দলের প্রতিনিধিদলের চীন যাওয়ার কথা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ যুগান্তরকে বলেন, তারা আমন্ত্রণ পেয়েছেন, এখনো তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকে রাজনীতিতে স্বস্তির পরিবেশ ফিরেছে

ট্রেন্ডিংয়ে মালাইকার ‘ক্ষতিপূরণ’

গ্রস রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

এবারের ঈদুল আজহা অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় স্বস্তিদায়ক ছিল

নতুন চক্রে কার বিপক্ষে কয়টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

সরকার গঠন করতে পারলে ড. ইউনূসকে পাশে চায় বিএনপি

কেন দেখা হলো না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে? বিবিসিকে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

তেল আবিবে ধ্বংসযজ্ঞ: ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে আহত ২০০, নিখোঁজ অনেক

লন্ডন বৈঠকে সংকট কি আসলেই কেটেছে?