মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, কাপ্তাই লেক দেশের সম্পদ, এই লেককে রক্ষা করতে হবে। এজন্য সরকার যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
সোমবার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণনকেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) মৎস্য অবতরণ ঘাটে কাপ্তাই হ্রদে পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবীদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
উপদেষ্টা বলেন, মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে কেউ যেন মাছ না ধরতে পারে, সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হবে। কিছু অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে, সেটি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বন্ধের সময় ভিজিএফের আওতায় চালের পরিমাণ ২০ কেজি থেকে বাড়িয়ে ৪০ কেজি করা হবে।
মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, কাপ্তাই লেকে এক সময় ৮৬ প্রজাতির নানা রকমের মাছ থাকলেও বর্তমানে তা কমে ৬৬ প্রজাতির মধ্যে চলে এসেছে। তাই মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৎস্য ব্যবসায়ীসহ জেলেদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদে যেসব পর্যটক ঘুরে বেড়ান তারা বিভিন্নভাবে হ্রদে দূষণ করেন। জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে উদ্যোগ নিলে ট্যুরিস্টদের সচেতন করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফরিদা আখতার আরও বলেন, কাপ্তাই হ্রদে উৎপাদিত মাছ দিয়ে ব্যবসা করলে হবে না; মাছের প্রজনন বৃদ্ধি কীভাবে বাড়ানো যায় সেজন্য কাজ করতে হবে।
বিএফডিসির চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. তোফাজ্জেল হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা, রাঙামাটি রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্র, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার এসএম ফরহাদ হোসেন, মৎস্যজীবী ব্যবসায়ীদের পক্ষে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য ব্যবসায়ী মাহফুজ উদ্দিন।
পরে উপদেষ্টা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের নদী উপকেন্দ্র রাঙামাটি পরিদর্শন এবং মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।