১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাঙামাটিতে দুই শ কোটি টাকার কমলা উৎপাদন

নিজেস্ব প্রতিবেদক

ছয় শতাধিক কমলার গাছ আছে সুদত্ত চাকমার বাগানে। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে ফলন হয়েছে মাত্র ১৩০টি গাছে। এসব গাছের কমলা বিক্রি করে এরই মধ্যে ১৭ লাখ টাকা আয় করেছেন সুদত্ত চাকমা। কমলাচাষি সুদত্ত চাকমা রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার সদর ইউনিয়নের তৈ-চাকমা মৌজার হেডম্যান (মৌজাপ্রধান)। তাঁর বাগানটি অবস্থিত ওই এলাকায় রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক ঘেঁষে ১৭ মাইলের দোসরপাড়ায়।

সুদত্ত চাকমার মতো কমলা চাষ করেছেন নানিয়ারচর উপজেলার অর্ধশতাধিক চাষি। সুস্বাদু, সুমিষ্ট ও রসে ভরপুর হওয়ায় সারা দেশে নানিয়ারচরের কমলার খ্যাতি রয়েছে। ফলে এই অঞ্চলের চাষিদের উৎপাদন করা কমলা সরবরাহ হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে কেবল নানিয়ারচর নয়, এর বাইরেও জেলার বিভিন্ন স্থানে কমলার চাষাবাদ রয়েছে। চাষিরা জানিয়েছেন, সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসকে কমলার মৌসুম ধরা হয়। সেই হিসেবে এখন কমলা বিক্রি প্রায় শেষ পর্যায়ে।

কৃষি কর্মকর্তাদের হিসাবে, চলতি বছর রাঙামাটি জেলার ২ হাজার ১০০ একর জমিতে কমলার চাষ হয়েছে। এসব বাগান থেকে উৎপাদিত কমলার বাজারমূল্য প্রায় দুই শ কোটি টাকা। সঠিকভাবে পরিচর্যা করা গেলে পাহাড়ে অপার সম্ভাবনা রয়েছে কমলা চাষের।

নানিয়ারচর উপজেলায় এবার কমলার চাষ হয়েছে প্রায় ৬০০ একর জমিতে। কৃষকেরা জানিয়েছেন, উপজেলাটিতে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে কমলার ব্যাপক ফলন হচ্ছে। আগে জোড়া হিসেবে চাষিরা কমলা বিক্রি করতেন, এখন কেজিতে বিক্রি হয়। ফলে চাষিরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। খুচরা বাজারে আকারভেদে স্থানীয় কমলা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এবার।

নানিয়ারচরের তৈ-চাকমা মৌজার সুদত্ত চাকমা জানান, ২০২০ সালে ৪ একর জমিতে কমলা চাষ শুরু করেন তিনি। প্রথমে মাত্র ১৫০টি কমলার চারা রোপণ করেন। ২০২১ সালে আরও ২০০ চারা রোপণ করা হয়। পরবর্তী বছর ৩০০ কমলার চারা রোপণ করেন। সুদত্ত চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবার ১৩০টি গাছের ফলন থেকেই ১৭ লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেছি। আশা করি, আগামী মৌসুমে আরও বেশি ফলন ও আয় হবে।’

জনগণের বিশ্বাস অর্জনে যেসব কৌশল ব্যবহার করতেন হাসিনা

যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যে গাজায় ইসরাইলি হামলা, নিহত ৮

খুলল চিকিৎসার নতুন দুয়ার , চীনে গেলেন রোগীদের প্রথম দল

বেইজিং পার্কে টহল দিচ্ছে রোবট কুকুর

চীন যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা

চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক স্বল্পমেয়াদী নয়: চাং হানহুই

ভেঙে পড়া অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ড. ইউনূস: দ্য গার্ডিয়ান

ধর্ষণ রোধে ইসলাম

আমিন বাজারের পাওয়ার গ্রিডের আগুন নিয়ন্ত্রণে