বিশ্বের অন্যতম উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তি ও সেবার জন্য এখন আর শুধু পশ্চিমা দেশগুলোর দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় না। এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন এখন বিশ্ব স্বাস্থ্যখাতে নিজেদের একটি নির্ভরযোগ্য নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
বিশেষ করে ক্যান্সার, অঙ্গ প্রতিস্থাপন, কার্ডিয়াক সার্জারি এবং রোবোটিক সার্জারির মতো আধুনিক চিকিৎসায় চীনের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো।
চলতি বছরের এপ্রিলে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের কুনমিং মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ সহযোগীতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। একই সাথে ইয়ুননান ক্যান্সার হাসপাতালের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফুওয়াই ইয়ুননান হাসপাতালের সঙ্গে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেস, ইয়ুননান ফার্স্ট পিপলস হাসপাতালের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ সহযোগীতামূলক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এসব চুক্তির আওতায় চিকিৎসা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং পারস্পরিক শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যৌথ সহযোগীতামূলক চুক্তি শুধু শিক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর মাধ্যমে বাংলাদেশি রোগীদের জন্যও খুলছে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের নতুন দ্বার।

চীনের ইয়ুননান প্রদেশের কুনমিং মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় স্বীকৃত একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। তাদের অগ্রগামী প্রযুক্তি, গবেষণাধর্মী শিক্ষা ব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক রোগী সেবার জন্য রয়েছে বিশেষ খ্যাতি।

চুক্তির পর চীনে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী রোগীদের জন্য সার্বিক সহযোগিতায় কাজ করছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস। এছাড়াও কাজ করছে কিছু স্বীকৃত ও বিশ্বস্ত এজেন্সি। এসব এজেন্সি এখন ঢাকা থেকে সরাসরি চীনের হাসপাতালগুলোতে রোগী পাঠানোর প্রক্রিয়া পরিচালনা করছে। এরইমধ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টারের সহযোগীতায় বাংলাদেশের রোগীরা কুনমিং যাওয়া শুরু করেছেন।

বাংলাদেশের মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ও রোগীদের জন্য যৌথ চুক্তিগুলি আশার আলো দেখাচ্ছে। একই সাথে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।