বাংলাদেশে বাড়ছে চীনা বিনিয়োগের গতি। মাত্র সাত মাসেই ২০টি চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে ৪০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি।চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর নতুন যাত্রায় দুদেশের বাণিজ্যিক অনণ্য উচ্চতায় যেতে চায় —বলে জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বুধবার রাজধানী ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে “চীন-বাংলাদেশ শিল্প ও সরবরাহ চেইন সহযোগিতা শীর্ষক সেমিনারে এই মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বাংলাদেশে চীনা উদ্যোক্তাদের সংগঠন চায়না এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ-সিইইএবি এই সম্মেলনের আয়োজন করে। যেখানে বাজার প্রবণতা, বিনিয়োগের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ সমূহ চিহ্নিত করে শিল্প প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সিইইএবি প্রেসিডেন্ট হান কুন এই গবেষণা প্রতিবেদন পেশ করেন।
যেখানে এদেশের বিদ্যুৎ-জ্বালানি, সড়ক, বন্দর, টেক্সটাইল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ নানা বিষয়ে সহযোগিতা প্রসঙ্গ উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় নিয়ে চীনা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী।
চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক খাতেও অবদান রাখবে চীন বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
চৌধুরী আশিক বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে চীনে সম্প্রতি বিডার একটি অফিস খোলা হবে। বাংলাদেশে চায়না টাউন নেই, ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে বলেও জানান তিনি ।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, চীন বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে শীর্ষ দেশও চীন। তবে চীনের সঙ্গে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে দুই দেশের সহযোগিতার আরও সুযোগ আছে। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সাহেলা আক্তার, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মোকছেদ আলী ও ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সালাম বেপারী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও বিভাগের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং চীন ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।