১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

লন্ডন বৈঠকে সংকট কি আসলেই কেটেছে?

নিজেস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে লন্ডনে তারেক রহমানের বৈঠকের পর আপাতদৃষ্টিতে ‘নির্বাচন কেন্দ্রিক সংকট উত্তরণ’ করা গেছে মনে হলেও সত্যিকার অর্থেই সে সংকট কতটা দূর হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক নেতা ও বিশ্লেষকদের ধারণা, প্রকৃত অর্থে রাজনৈতিক জটিলতা এখনো কাটেনি, বরং সামনের সময়টায় ‘রাজনৈতিক মেরুকরণ আরও জটিল’ হয়ে উঠতে পারে বলেও বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন। বিবিসি বাংলার রাকিব হাসনাতের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকের পর কেবলমাত্র নির্বাচন কেন্দ্রিক সময়সীমার বিষয়ে আলোকপাত করেছে সরকার এবং বিএনপি। তবে বৈঠকের সম্ভাব্য ফলাফল, রাজনীতিতে এর তাৎপর্য এবং অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া – এমন নানা বিষয় নিয়ে এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে আলোচনা চলছে।

বৈঠক নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায়, জামায়াতে ইসলামী অভিযোগ করেছে, বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করে সরকার যেভাবে ব্রিফিং ও বিবৃতি দিয়ে বৈঠকের বিষয়বস্তু প্রকাশ করেছে তাতে ‘একটি বিশেষ দলের প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা, যা তার নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ করেছে’।

অন্যদিকে, নতুন দল এনসিপি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘জুলাই সনদ’ কার্যকর করা ও বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচন-সংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলছেন, তারা আশা করছেন, বিএনপি এখন এই দুই ইস্যুতে সহযোগিতা করবে।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলছেন, পর্দার আড়ালে এমন কিছু নেগোসিয়েশন হয়েছে যাতে বিএনপিকে কিছু ছাড় দিতে হয়েছে। তবে দুই নেতার দেড় ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ চূড়ান্ত করা গেলো না কেন- সেই প্রশ্নও করছেন কেউ কেউ।

এছাড়া নির্বাচন ছাড়াও সরকারের তিন উপদেষ্টাদের পদত্যাগ ও দলীয় নেতা ইশরাক হোসেনের মেয়র হিসেবে শপথের দাবিতে সরকারকে বিএনপি ছাড় দিলো কী-না কিংবা এ দুটি বিষয়ে দলটির অবস্থান এখন কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

আগের দাবি নিয়ে কি বিএনপি এখন নমনীয়?

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে শুক্রবার বৈঠক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ওই বৈঠকের মাধ্যমে বিএনপির একক নেতা হিসেবে তারেক রহমানের একটি আনুষ্ঠানিক শো-ডাউন হয়ে গেলো বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।

অন্যদিকে, বৈঠকের আগে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।

আবার বৈঠকের পর যে যৌথ ব্রিফিং হয়েছে তাতে খলিলুর রহমানের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

যদিও কয়েক সপ্তাহ আগেই রাখাইনের জন্য মানবিক করিডর ইস্যুতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব তৈরির দায়ে খলিলুর রহমানকে অভিযুক্ত করে তার পদত্যাগ চেয়েছিল বিএনপি।

সেসময় প্রধান উপদেষ্টার সাথে ঢাকায় বিএনপির নেতাদের সর্বশেষ বৈঠকে দলটি খলিলুর রহমান ছাড়াও সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং মাহফুজ আলমের পদত্যাগের জোর দাবি করেছিল।

একইসঙ্গে, আদালতের রায়ের পর ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে শপথের জন্য দিনের পর দিন রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলন করেছেন ইশরাক হোসেন ও তার সমর্থকরা।

মূলত এসব ঘটনাপ্রবাহকে কেন্দ্র করেই সরকারের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল এবং তার জের ধরে প্রধান উপদেষ্টার ‘কথিত পদত্যাগে’র গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়েছিল কয়েক সপ্তাহ আগে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলছেন, লন্ডনের বৈঠকে আলোচনায় না আসলেও এসব দাবি তাদের এখনো আছে।

ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠকে রাজনীতিতে স্বস্তির পরিবেশ ফিরেছে

ট্রেন্ডিংয়ে মালাইকার ‘ক্ষতিপূরণ’

গ্রস রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

এবারের ঈদুল আজহা অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় স্বস্তিদায়ক ছিল

নতুন চক্রে কার বিপক্ষে কয়টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

সরকার গঠন করতে পারলে ড. ইউনূসকে পাশে চায় বিএনপি

কেন দেখা হলো না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে? বিবিসিকে জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

তেল আবিবে ধ্বংসযজ্ঞ: ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে আহত ২০০, নিখোঁজ অনেক

লন্ডন বৈঠকে সংকট কি আসলেই কেটেছে?