দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা বৃদ্ধির এক ধরনের অনিশ্ছয়তা তৈরি হতে চলেছে। এই অবস্হায় উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে বলে জানায় দেশটি।
বুধবার ভোরে ভারত পাকিস্তানের ভেতরে কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে সামরিক হামলা চালায়, যার জবাবে পাকিস্তানও শক্ত প্রতিক্রিয়া জানায়। আক্রমন পাল্টা আক্রমনে দেশদুটির অর্থনীতি চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, আন্ঞলিক শান্তি বিাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে শুরু করেছে বাংলাদেশে এবং চীনেও। এ নিয়ে আরো মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর।
- ৪৫৫টি ডিজিটাল অর্থনীতিনির্ভর প্রকল্পের চুক্তি এবারের অষ্টম ডিজিটাল চায়না সামিটে
পূর্ব চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের ফুচৌ শহরে অনুষ্ঠিত হলো ৮ম ডিজিটাল চায়না সামিট। সম্প্রতি শেষ হওয়া এ সম্মেলনে ৫৬ হাজার বর্গমিটার জুড়ে বিস্তৃত অঞ্চলটি ছিল দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। এবারের সামিটে চীন তুলে ধরেছে তার ডিজিটাল রূপান্তর ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতির অগ্রগতির ঝলক।
সবচেয়ে নজরকাড়া প্রদর্শনীগুলোর একটি ছিল ঘরের কাজ করতে সক্ষম চমৎকার একটি এআই রোবট। যেটা কিনা ফল-মূল, সবজি, রান্নাঘরের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে পারে। এ রোবটের পেছনে রয়েছে এক শক্তিশালী ‘এম্বডেড এআই’ মডেল—যার প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হয়েছে বাস্তব জীবনের লক্ষ লক্ষ তথ্য।
আরও ছিল রোবটিক কুকুর বাহিনী—কেউ পাহাড়ি বন পাহারা দিচ্ছে দুর্যোগ প্রতিরোধে, আবার কেউ শহরের অলিতে-গলিতে দিচ্ছে কমিউনিটি টহল। ছিল ছয়-পায়ে হাঁটা একটি রোবটিক কুকুর। যেসব স্থানে মানুষ যেতে পারে না, সেখানে অনায়াসে পৌঁছে যাচ্ছে এই বুদ্ধিমান যন্ত্র।
এখানেই শেষ নয়। এআই এবার ভ্রমণ ও সংস্কৃতির জগতেও ঢুকে পড়েছে। প্রদর্শনীতে ছিল ডিজিটাল ট্যুরিস্ট গাইড—লোকজ সংস্কৃতিতে রঙিন করা ‘ডিজিটাল মানবরা’ স্মার্ট চশমায় ভর করে পর্যটকদের গাইড করছে—দিচ্ছে ভ্রমণ পরিকল্পনা আর দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে দারুণ সব তথ্য।
সদ্যসমাপ্ত এই সামিটে স্বাক্ষরিত হয়েছে মোট ৪৫৫টি ডিজিটাল অর্থনীতিনির্ভর প্রকল্পের চুক্তি, যার মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ২২৮ বিলিয়ন ইউয়ান।
প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া ৬৫ শতাংশের বেশি প্রযুক্তি ছিল একেবারেই নতুন—যেগুলো প্রথমবার জনসমক্ষে এসেছে।
সামিটে অংশ নিয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষ—এটিও একটি রেকর্ড। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই ছিলেন চীনের ব্যবসায়িক জগতের প্রতিনিধিরা।
এককথায় বলা যায়, ভবিষ্যতের বেশ কয়েকটি জানালা যেন খুলে দিল চীনের এই ডিজিটাল সামিট। এতে আমাদের জীবনের প্রতিটি দিক কী করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বদলে দিতে চলেছে, তারই এক বাস্তব রূপকল্প দিয়েছে চীন।