ভারতের আহমেদাবাদে ২৪২ জন যাত্রীসহ এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার তিনি এক শোকবার্তায় বলেন, ‘আহমেদাবাদে ২৪২ জন যাত্রীবাহী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমরা স্তব্ধ। শোকসন্তপ্ত পরিবার ও স্বজনদের জন্য আমরা প্রার্থনা করছি।
এই কঠিন সময়ে ভারত সরকার ও দেশটির জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সম্পূর্ণ সহমর্মিতা রইল। বাংলাদেশ সব সময় ভারতের পাশে আছে’।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এদিন বিকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানান।
এদিকে, আহমেদাবাদের আবাসিক এলাকায় এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর ঘটনাস্থলের একটি ভবন থেকে ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, আরও অনেকে ওই ভবনে আটকা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড়াল দেওয়ার পরই দুর্ঘটনায় শিকার হয়। বিমানটিতে এ সময় ২৪২ জন আরোহী ছিলেন।
বিবিসি বলছে, লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরগামী ওই বিমানে যে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, তার মধ্যে দুজন পাইলট ও ১০ জন ক্রু। বাকী ২৩০ যাত্রীর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় ও ৬১ জন বিদেশি নাগরিক।
বিদেশি যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ৭ জন পর্তুগালের ও একজন কানাডার নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের তথ্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, রানওয়ে ২৩ থেকে বেলা দেড়টার দিকে বিমানটি টেকঅফ করে। এরপরই সেটি ‘মে ডে’ সঙ্কেত দেয়। পরে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি উচ্চতা বাড়াতে না পেরে খুব নিচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে এবং কিছুক্ষণ পর সেটি ভূমিতে আছড়ে পড়ে। বিস্ফোরণের পর পরিণত হয় আগুনের গোলায়।
দুর্ঘটনার আগে বিমানটি প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে উড়ছিল এবং বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে সেটি বিধ্বস্ত হয়।