১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

টাঙ্গাইলে মহাসড়কে বাস ডাকাতি, লুট, নারীর শ্লীলতাহানি

নিজেস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে মঙ্গলবার রাতে ‘আল ইমরান’ পরিবহণের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকালে বাসটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর থানায় নেওয়া হয়।

রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার ভোর ৫টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাসটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাত দল যাত্রীদের সব লুটে নেয়। লুটপাটের সময় নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।

বাসচালক, সুপারভাইজার ও যাত্রীরা জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকার আবদুল্লাহপুর থেকে আল ইমরান পরিবহণের যাত্রীবাহী বাসটি রংপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। 

বাসের সহকারী আতিকুর রহমান জানান, পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল, আশুলিয়া থেকে কয়েকজন যাত্রী ওঠেন। ১০ নারীসহ ৪৫ যাত্রী নিয়ে বাসটি রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা অতিক্রম করে।

যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তের সংযোগ সড়কের কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর যাত্রীবেশী ৮-১০ জন ডাকাত ছুরি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের কাছ থেকে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। 

পরে তারা যাত্রী, বাসের চালকসহ সবার চোখ–মুখ বেঁধে ফেলে। যমুনা সেতুর পূর্ব প্রান্তের গোলচত্বর এলাকায় গিয়ে বাসটি ঘুরিয়ে আবার ঢাকার দিকে চলতে থাকে। চলাচলের সময় প্রত্যেক যাত্রীকে তল্লাশি করে মুঠোফোন, নগদ টাকা, সোনা ও অন্য মালামাল লুটে নেয়। তারা বাসটি নিয়ে সাভারের চন্দ্রা-আশুলিয়া পর্যন্ত যায়। পরে রাতভর কয়েকবার বাসটি নিয়ে ওই এলাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত চক্কর দেয়।

বাসের চালক আবেদ আলী জানান, সারা রাত বাস নিয়ে ডাকাতরা চার–পাঁচবার টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-আশুলিয়া যাওয়া-আসা করে। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে টাঙ্গাইল শহরের বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় বাসটি রেখে ডাকাত দল চলে যায়। পরে তারা যাত্রীদের নিয়ে সকালে টাঙ্গাইল সদর থানায় যান। 

সকালে সদর থানায় গিয়ে দেখা যায়, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বাসের স্টাফ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলছেন।

বাস যাত্রী বগুড়ার আদমদীঘির জুয়েল মিয়া জানান, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নারী যাত্রীদের তল্লাশির সময় শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। তার চোখ–মুখ বাঁধা ছিল। তবে তিনি নারী যাত্রীদের কান্নাকাটি ও কাকুতি-মিনতি শুনতে পান। 

অপর যাত্রী রংপুরের কাউনিয়া এলাকার আকাশ মিয়া জানান, হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ডাকাতরা প্রত্যেক যাত্রীর দেহ কয়েকবার তল্লাশি করে। যার যা কিছু ছিল সব নিয়ে যায়।

সদর থানার ওসি তানবীর আহমদ বলেন, মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এ মহাসড়কে ইউনিক রয়েলসের একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের ২ আগস্ট একই কায়দায় কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

মামলার অস্বাভাবিক চাপ কমাতে আপস করা গুরুত্বপূর্ণ: আইন উপদেষ্টা

ইসরাইলের তিন যুদ্ধবিমান ধ্বংস ও দুই পাইলট আটক

ক্লাব বিশ্বকাপে ‘দারুণ সুযোগ’ দেখছেন মেসি

নীরবে বাগদান, মুখ খুললেন ডুয়া লিপা

সিলেটের কোনো পাথর কোয়ারি আর লিজ দেওয়া হবে না: রিজওয়ানা

এইচএমএস সার্ভে জাহাজ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে জানাল ইউকে টিম

যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

২৪ ঘণ্টায় করোনায় ২ জনের মৃত্যু

কেটে যাবে সংকট ও আস্থার ঘাটতি