ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেছেন, রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুন নেভাতে ‘কয়েকদিন লাগতে পারে’। আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুরোপুরি নেভেনি। বুধবার বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার সারা রাত সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কিছু কর্মী থাকবেন, যাতে আবার আগুন জ্বলে উঠলে তারা ব্যবস্থা নিতে পারেন।
আগুন লাগার প্রায় বারো ঘণ্টা পর মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক।
তিনি বলেন, “এখনো ওখান থেকে ধোঁয়া উঠছে, কারণ ওখানে কেমিক্যাল আছে। আমরা একটু সময় নেব। কারণ ওখানে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল আছে এবং কম্বিনেশনটা বিভিন্ন ধরনের। কেমিক্যাল দুর্ঘটনা ফেস করতে হয় একটু সময় নিয়ে, এটার একটা প্রটোকল আছে। আমরা সেটা ফলো করছি, হয়ত কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। বুধবার সকারে বুয়েটের একটা প্রতিনিধি দল আসবে। তারা দেখার পর আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।”
জাহেদ কামাল বলেন, “এখন এটা যে পরিস্থিতিতে আছে তা আমাদের জন্য আপাতদৃষ্টিতে নিরাপদ মনে হলেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আগুন নেভানো আছে। কিন্তু আগুন আবার হয়ত জ্বলে উঠতে পারে। সেজন্য আমরা সতর্ক আছি। আমাদের ফায়ার ফাইটাররা রাতে এখানে থাকবেন যাতে আগুন জ্বলে উঠলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারেন।”
এখনো কী আগুন নেভেনি? এ প্রশ্নে মহপরিচালক বলেন, “আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে নির্বাপণ বলা যাবে না। এটা অন্য আগুনের মত দ্রুত নির্বাপণ করা যাবে না। দ্রুত করতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। টঙ্গীরটাও নেভাতে সাত-আটদিন লেগে গিয়েছিল। আমরা চেষ্টা করছি বোঝার জন্য। তারপর বলতে পারব কতোটুকু সময় লাগবে। আমাদের কাছে স্থানীয় জনগণ ও আমাদের নিজস্ব জনবলের নিরাপত্তা সবার আগে। আমরা চাই না আরও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হোক।”
মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে রূপনগরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় ওই রাসায়নিকের গুদাম এবং পাশের পোশাক কারখানায় আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট সেখানে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ১৬টি পোড়া লাশ উদ্ধারের তথ্য দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সবগুলো লাশ উদ্ধার হয়েছে পোশাক কারখানা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে। ডিএনএ পরীক্ষা না করে সেগুলো শনাক্ত করার উপায় নেই।