১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চাকরির সুযোগ : ১০ হাজার পদে লোক নিচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান

নিজেস্ব প্রতিবেদক
চাকরির সুযোগ

কোথায় কেমন সুযোগ-সুবিধা

চলমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তো আছেই। সামনে আরো বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। বর্তমানে চাকরিপ্রার্থীরা কাজের ধরন, একাডেমিক বিষয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যতার চেয়েও কাজের পরিবেশ এবং সুযোগ-সুবিধাকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনেকে এমন বিষয় মাথায় রেখে বেছে বেছে আবেদন করেন।

এরই মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত আছেন, এমন প্রার্থীরাও নতুন আবেদনের সময় প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধাকে গুরুত্ব দেন। যাঁদের আত্মবিশ্বাস ও প্রস্তুতি ভালো, তাঁরা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন, জীবন বীমা করপোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানের ৯ম ও ১০ম গ্রেডের পদগুলোতে আবেদন করতে পারেন।

চাকরির সুযোগ : কোন পদে আবেদন করবেন

অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার পদে চাকরির সুযোগ অনেক প্রতিষ্ঠানে একাধিক পদে আবেদন করা যায় না অথবা সব পদের পরীক্ষা একই সময়ে হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের পদগুলোর মধ্যে ঠিক কোনটিতে আবেদন করা উচিত, এ নিয়ে প্রার্থীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন।

এখানে দুটো বিষয় বিবেচনা করা উচিত। ১. প্রার্থীর ক্যারিয়ার পরিকল্পনা ৯ম বা ১০ম গ্রেড, নাকি ১১ থেকে ১৭তম গ্রেড। ২. প্রার্থীর চাকরির প্রস্তুতি কেমন। প্রস্তুতি ভালো থাকলে ১ম ও ২য় শ্রেণির পদগুলোতে চেষ্টা করা উচিত।

তবে এটা ঠিক, বর্তমানে ১১ থেকে ১৭ গ্রেডের চাকরিতে তুমুল প্রতিযোগিতা। চাকরি পেতে খুব ভালো প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই যেকোনো পদের ক্ষেত্রে টিকতে হলে ভালো প্রস্তুতি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে পছন্দ ও সক্ষমতা বিবেচনা করে সিদ্ধান্তটি নিন।

পরীক্ষা কবে হতে পারে

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জীবন বীমা করপোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কার্যক্রম খুব দ্রুত হয়।

এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠান পুনঃ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, তাদের নিয়োগ কার্যক্রমও দ্রুত হবে। চলতি বছরের মধ্যেই এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হতে পারে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষা হতে ৬ মাস বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানে আবেদনের পর চাকরিপ্রার্থীরা প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবেন। পরীক্ষার সম্ভাব্য সময়ের কথা মাথায় রেখে রুটিন করে নিয়মিত প্রস্তুতি নিন।

পরীক্ষা পদ্ধতি

সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৯ম ও ১০ম গ্রেডের পদের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রিলি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মতো কিছু প্রতিষ্ঠানে ‘কম্পিউটার দক্ষতা’র পরীক্ষাও নেওয়া হয়। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের মতো কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রথমে এমসিকিউ, এরপর সরাসরি মৌখিক পরীক্ষা হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন অধিদপ্তরের ১৩ থেকে ১৭তম গ্রেডের পদগুলোর পরীক্ষায় লিখিত (সংক্ষিপ্ত) ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই লিখিত পরীক্ষায় বাংলা বানান ও বাক্য শুদ্ধিকরণ, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, ইংরেজি বাক্য রূপান্তর, চযধত্ধংব ধহফ রফরড়সং,, সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্ন, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ভিত্তিক কম্পোজিশন ইত্যাদি পাঠ থেকে প্রশ্ন করা হয়।

নিয়োগ প্রস্তুতি

সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণত দুই ধরনের প্রশ্ন করা হয়। ১. বিসিএস ধাঁচের প্রশ্ন। এখানে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য, বর্ণনামূলক গণিত, সাধারণ জ্ঞান (ইতিহাস, অর্থনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা) প্রভৃতির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ২. ব্যাংক ধাঁচের প্রশ্ন। এখানে বাংলা ও ইংরেজি ভাষা (জিম্যাটের মতো), শর্টকাট গণিত, সাধারণ জ্ঞান (সাম্প্রতিক)-এর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোনো চাকরিপ্রার্থী এই দুই ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার পর তাঁকে আর আলাদা করে কোনো প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে না। অর্থাৎ প্রায় সব নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি ভালো করতে পারবেন। অন্যদিকে যাঁরা মূল বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি না নিয়ে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক প্রস্তুতি নেন, তাঁদের মধ্যে খুব কমসংখ্যক প্রার্থীই পরীক্ষায় ভালো করেন! বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, খাদ্য অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন, পল্লী উন্নয়ন বোর্ড প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে বিসিএস ধাঁচের প্রশ্ন এবং বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, জীবন বীমা করপোরেশন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে ব্যাংক ধাঁচের প্রশ্ন করা হতে পারে। নিয়োগ প্রস্তুতির জন্য বাজারে প্রচলিত বিসিএস ও ব্যাংকের বিষয়ভিত্তিক গাইড বই থেকে প্রস্তুতি নিতে পারেন। এর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানভিত্তিক বিগত বছরের প্রশ্নগুলো দেখলে প্রশ্নপত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এসব প্রশ্ন অনুশীলন করলে প্রস্তুতিও ভালো হবে।

বি. দ্র. চলমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোর মধ্যে বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে পদসংখ্যা ১০০ থেকে ১৭৯১টি। তুলনামূলক কম পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলোর মধ্যে আছে—জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া (৬৬), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৬৩), ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (৭৫), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (৫৫), বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড (৫০), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (৫০), মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (৫৩), বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (২৬), অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় (২৮), সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর (১৭), রুরাল পাওয়ার কম্পানি (১২) এবং আইন ও সংসদবিষয়ক বিভাগ (৩৮)। এ ছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (১৩), জেলা প্রশাসকের কার্যালয়—মাগুরা (১৪), ঝালকাঠি (১৮), গোপালগঞ্জ (২০) এবং বিভিন্ন জেলা জজের কার্যালয়ে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান। সম্প্রতি আবেদনের সময় শেষ হয়েছে, এগুলোর মধ্যে আছে—সরকারি কর্ম কমিশন (১৮২৫), পরিসংখ্যান ব্যুরো, পানি উন্নয়ন বোর্ড (২৭৭), বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (১০৪), বিয়াম ফাউন্ডেশন (৬৭), কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (১০২), পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (৫৪), ডাক জীবন বীমা, পূর্বাঞ্চল (৩০), জীবন বীমা করপোরেশন (৫৯) এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা (২৯)।

বাকিংহাম প্যালেসে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানালেন রাজা তৃতীয় চার্লস

নিহতের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি রূপি দেবে টাটা গ্রুপ

লিপু থেকে মিরাজ, বাংলাদেশ পেল ১৭ অধিনায়ক

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি হয়েছে

ভারতে বিমান দুর্ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোকবার্তা

ভারতে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত

মধ্যরাতে নিষেধাজ্ঞা শেষ, সাগরে যেতে প্রস্তুত জেলেরা

যে ৪ কারণে জাম খাবেন

মেট্রোরেলের যাত্রীদের মাস্ক পরার অনুরোধ