বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক-প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এলাকা বেইজিং ই-টাউনের একটি পার্কে দেখা যাবে টহলরত দুটি রোবট কুকুর। ধূসর-সাদা রঙের এই চারপদী রোবটগুলো শহরে নজরদারিতে এনেছে অভিনবত্ব, দৃষ্টি কাড়ছে সবার।
মাল্টি-স্পেকট্রাল ক্যামেরা ও উচ্চ-সংবেদনশীল সেন্সরে সজ্জিত এই রোবট-টহলকর্মীরা বেইজিং স্মার্ট সিটি উদ্যোগেরই অংশ।
সম্প্রতি এতে আরও যোগ হয়েছে এল-৪ চালকবিহীন বুদ্ধিমান গাড়ি এবং বিগ ডাটা। ২৪ ঘণ্টার পূর্ণাঙ্গ নজরদারি নিশ্চিত করা হয়েছে এতে।কুকুরগুলোর ওজন ৬৫ কেজি করে। চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম এগুলো। রোবটের মাথায় মাল্টি-স্পেকট্রাল ক্যামেরা ও সার্চলাইট রয়েছে। পেছনের অংশে আছে বিস্ফোরণ-প্রতিরোধক গিয়ার ও গ্যাস ডিটেক্টর।
স্বচালিত টহল গাড়িগুলো ৩৬০-ডিগ্রি প্যানোরামিক ক্যামেরা ও উচ্চ-সংবেদনশীল সেন্সরে সজ্জিত।
ই-টাউন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রোবট কুকুরগুলো মাটির পর্যবেক্ষণে নিযুক্ত থাকবে, আর চালকবিহীন যানগুলো সরবরাহ ও তথ্য আদান-প্রদানের কাজ করবে। ৫জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে, এই ব্যবস্থা কমান্ড সেন্টারে তাৎক্ষণিকভাবে সংকেত পাঠিয়ে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার নিশ্চয়তাও দেবে।
নতুন ব্যবস্থাটি প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় টহল কার্যকারিতা তিনগুণ বাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বেইজিং ই-টাউনের মুখপাত্র। এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় একটি হাফ-ম্যারাথনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও রোবট কুকুরগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যেখানে মানুষের পাশাপাশি রোবট প্রতিযোগীরাও একই রুটে দৌড়াবে। যদিও চতুষ্পদী রোবট প্রযুক্তি এখনও বাণিজ্যিক পর্যায়ের প্রাথমিক ধাপে রয়েছে, তবুও এর সম্ভাবনাময় বাজারের কারণে চীনের অনেক উদ্ভাবক এই খাতে বিনিয়োগ করছে।
দক্ষিণ চীনের শেনচেনভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তথ্যানুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব চতুষ্পদী রোবটের পরিমাণ ৫ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট ছাড়িয়ে যাবে এবং এর বাজারমূল্য দাঁড়াবে ১১০ ডলারেরও বেশি।