বাংলাদেশ ও চীনের কুটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে চাইনিজ ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী। মঙ্গলবার জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টাশালী এক্সিবিশন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করা হয় এই প্রদর্শনীর।
‘দ্য ল্যানটিং লিগ্যাসি’প্রতিপাদ্যে সাতদিনব্যাপী এই প্রদর্শনী যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস, বাংলাদেশ- চীন ফ্রেন্ডশীপ সেন্টার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনষ্টিটিউট।
প্রদর্শনীর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চীনা দূতাবাসের অ্যাটাশি সুন খ্যংনিং ও বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সাধারন সম্পাদক এইচ, এম, জাহাঙ্গীর আলম রানা ।
উদ্ধোধনী বক্তৃতায় চীনা দূতাবাসের অ্যাটাশি সুন খ্যংনিং বলেন, আমরা এই বছর প্রথম বারের মতো চায়নিজ ক্যালিগ্রাফী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। যেহেতু খুব তাড়াহুড়া করে এই আয়োজন করা হয়েছে তাই সুন্দর ভাবে আমরা প্রোগ্রামটি আয়োজন করতে পারিনি, এমনকি ক্যালিগ্রাফিতে ক্যাপশনও দিতে পারিনি, এর জন্য আমরা সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তবুও আশাকরি এই সব ক্যালিগ্রাফি থেকে দর্শকগণ এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। পাশাপাশি চীন ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উচ্চস্তরে পৌঁছাবে এবং গভীর হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সাধারন সম্পাদক এইচ, এম, জাহাঙ্গীর আলম রানা বলেন, চাইনিজ ক্যালিগ্রাফি ৩০০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক শিল্পকর্ম। মুলত ব্রাশ, কালি, কলম ও কাগজের ব্যবহার করে চাইনিজ শিল্পীগণ নান্দনিক ক্যালিগ্রাফি তৈরী করেন। আমরা অতীতে চায়নার সাথে বিভিন্ন প্রকার কালচারাল প্রোগ্রাম বিনিময় করলেও এবার প্রথমবারের মত ক্যালিগ্রাফি প্রদশর্নে আয়োজন করেছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাইনিজ ক্যালিগ্রাফিভক্ত জনাব লিউ চেন, জনাব কো তাহাই, জনাব হু সং সহ বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তারা।