চীনে ভোক্তাদের অভ্যাস দ্রুত বদলাচ্ছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনারা এখন কেবল মৌলিক চাহিদা নয়, বরং ব্যক্তিগত পছন্দ ও উচ্চমানের জীবনযাপনের লক্ষ্যে বিনোদন, অবকাশ ও স্বাস্থ্যসেবায় বেশি ব্যয় করতে প্রস্তুত।
চীনের হাইনান প্রদেশে অনুষ্ঠিত পঞ্চম চায়না ইন্টারন্যাশনাল কনজ্যুমার প্রোডাক্টস এক্সপো উপলক্ষে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ডিজিটাল অর্থনীতি ও বায়োটেকনোলজি নতুন ধরনের ভোগপণ্যের চাহিদা তৈরি করছে।
স্বাস্থ্যখাতে ‘হেলদি চায়না ২০৩০’ নীতির প্রভাবেও বড় পরিবর্তন আসছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগও বাড়ছে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্বাস্থ্যপণ্য নির্মাতা ওএসআইএম জানিয়েছে, চীনে তাদের বিক্রি বাড়ছে এবং তারা হাইনানে নতুন উন্নতমানের শোরুম চালুর পরিকল্পনা করছে। তাদের মূল ভোক্তা গোষ্ঠী ৩৫-৪৫ বছর বয়সী।
ওএসআইএম চায়না’র অ্যাসোসিয়েট ব্র্যান্ড ডিরেক্টর লিলি ইয়াং বলেন, ‘চীনে বয়স্কদের পাশাপাশি তরুণরাও ঘাড়ের ব্যথা ও খেলাধুলাজনিত ক্লান্তি দূর করতে ম্যাসাজ যন্ত্র ব্যবহার করছেন।’
থাই কোম্পানি সিপি গ্রুপও জানিয়েছে, তারা হাইনানের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি ঘুম ও হাড়ের যত্নে ফাংশনাল ফুড উৎপাদন করেছে, যার বিক্রির বার্ষিক বৃদ্ধির হার ৪৫ শতাংশ।
সিপি গ্রুপের সিনিয়র প্রেসিডেন্ট চাং শুহুই বলেন, ‘এখন অনেক তরুণ রাতে জেগে থাকেন, আবার একইসঙ্গে লিভার কেয়ারের পণ্যও গ্রহণ করেন—এটাই স্বাস্থ্যসচেতনতার নিখুঁত প্রকাশ।’
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের এক পূর্বাভাসেও বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের স্বাস্থ্যসেবা বাজারের আকার ১৬ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে পৌঁছাতে পারে।