১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পৃথিবীতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে শেনচৌ-১৯

নিজেস্ব প্রতিবেদক

চীনের শেনচৌ-১৯ মহাকাশচারীরা দেশটির মহাকাশ স্টেশন থিয়ানকংয়ে নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা করছেন। একইসঙ্গে, তারা পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
গত বছরের ৩০ অক্টোবর চীনের তিন মহাকাশচারী ছাই সুচ্য, সোং লিংতোং এবং ওয়াং হাওচ্য শেনচৌ-১৯ মহাকাশযানে করে চিউছুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে যাত্রা করেন। এখন তারা চীনের মহাকাশ স্টেশনে আছেন এবং সেখানে বিভিন্ন বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করছেন।

সেখানে তাদের কাজের মধ্যে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মহাকাশে বস্তুর নড়াচড়া পরীক্ষা করা। এর জন্য তারা বিশেষ থ্রিডি ক্যামেরা ব্যবহার করে ভিডিও তুলেছেন। এই ভিডিওগুলো মাইক্রোগ্রাভিটিতে (যেখানে ওজন প্রায় নেই) বিভিন্ন কাজ করার সময়কার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধরে রেখেছে। এই তথ্যগুলো পরে বিজ্ঞানীরা দেখবেন এবং বুঝবেন যে মহাকাশচারীরা কীভাবে নভোযানের ভেতরে কাজ করেন এবং কীভাবে তারা নড়াচড়া করেন। এটা তাদের ভবিষ্যতের কাজের জন্য খুব দরকারি।

মহাকাশচারীরা ছোট ছোট নড়াচড়া কতটা ভালোভাবে করতে পারেন, তা জানার জন্য কিছু পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে ছিল স্লাইড পরীক্ষা এবং মেমরি স্লাইড পরীক্ষা। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এই পরীক্ষার ফল থেকে জানা যাবে যে মহাকাশে সময় থাকার কারণে মহাকাশচারীদের ছোট ছোট মাংসপেশীর নড়াচড়ায় কী পরিবর্তন আসে এবং তারা কীভাবে নতুন পরিস্থিতিতে কাজ করতে শেখে।

মহাকাশে আমাদের পেশী এবং স্নায়ুর উপর কেমন চাপ পড়ে, তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন। এর জন্য মহাকাশচারীরা বিশেষ কিছু যন্ত্র ব্যবহার করে তাদের হাঁটাচলার তথ্য ও ছবি তুলেছেন। এর ফলে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারবেন যে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে হাঁটার সময় গতির সাথে পায়ের পাতার চাপের সম্পর্ক কেমন থাকে। এই তথ্য মহাকাশে থাকার সময় আমাদের শরীর কীভাবে কাজ করে, তা জানতে সাহায্য করবে।

মহাকাশে মহাকাশে রিভার্স ব্রেইটন উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন রেফ্রিজারেশন প্রযুক্তি বসানো হয়েছে। এটা বসানোর কাজ নভোচারীরাই করেছেন। এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে মহাকাশযানের ভেতরের তাপমাত্রা ঠিক রাখা যায় এবং অন্যান্য মহাকাশ মিশনেও এর সাহায্য নেওয়া যায়। এর ফলে চীনের মহাকাশ প্রযুক্তি আরও উন্নত হবে।
গত সপ্তাহে, নভোচারীরা মহাকাশ স্টেশনে পূর্বপরিকল্পিত প্ল্যাটফর্ম পরিদর্শনও করেছেন। স্টেশন পরিষ্কার করা এবং বর্জ্য পরিবহন ও সংরক্ষণের মতো অন্যান্য কাজ করার পাশাপাশি তারা কেবিনে থাকা সব ধরনের জিনিসপত্র গণনা ও সাজিয়েছেন।

এছাড়াও, ক্রুরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন এবং প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়াম করছেন।
চীন মানববাহী মহাকাশ সংস্থার মতে, শেনচৌ-১৯ নভোচারীরা এপ্রিলের শেষ বা মে মাসের শুরুতে উত্তর চীনের ইনার মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তোংফেং অবতরণ স্থানে ফিরে আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বললেন ফাহাম

হত্যাচেষ্টার অভিযোগে হাসিনা-জয়সহ ২২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা

‘সাংবাদিকরা শুধু সমালোচনাই করে না, প্রশংসাও করে’

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার অর্ধশত হলে ‘তাণ্ডব’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের চোখে ড. ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠক

বাকিংহাম প্যালেসে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানালেন রাজা তৃতীয় চার্লস

নিহতের প্রত্যেকের পরিবারকে এক কোটি রূপি দেবে টাটা গ্রুপ

লিপু থেকে মিরাজ, বাংলাদেশ পেল ১৭ অধিনায়ক

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তি হয়েছে