ইরানের সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ২০০ জনের মতো মানুষ আহত হয়েছেন, জানিয়েছে ইসরাইলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড আদোম।
রোববার (১৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী:
* উলফসন মেডিকেল সেন্টার, হোলোন: ৬৫ জনকে ভর্তি করা হয়েছে; এর মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, ৭ জন মাঝারি ও বাকিরা হালকা আহত।
* শামির মেডিকেল সেন্টার, বিয়ার ইয়াকভ: ২৮ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে; ১ জনের অবস্থা গুরুতর, ১ জন মাঝারি, ২০ জন হালকা আহত এবং ৬ জন মানসিক ধাক্কায় আক্রান্ত।
* শেবা মেডিকেল সেন্টার, তেল হাশোমের: ৩৭ জন হালকা থেকে মাঝারি আহত ব্যক্তি চিকিৎসাধীন।
* আসুতা মেডিকেল সেন্টার, আশদোদ: ৫ জন চিকিৎসাধীন; এর মধ্যে ১ জন আশঙ্কাজনক, ৪ জন মাঝারি আহত।
হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বাট ইয়ামে একটি আবাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এখনো প্রায় ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কায় উদ্ধারকর্মীরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাট ইয়াম ইসরাইলের তেল আবিব জেলার একটি শহর। এটি তেল আবিব শহরের ঠিক দক্ষিণে অবস্থিত এবং তেল আবিব মহানগর এলাকার অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। আর সেখানে হামলা চালাল ইরান।
এই পরিস্থিতিতে ইসরাইলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, আর মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে।

এদিকে ইরানের সঙ্গে চলমান সংঘাত ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে’—এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন ও ইসরাইলি কর্মকর্তারা। সিএনএনকে দেওয়া এক মন্তব্যে তারা জানান, এই অভিযানে হোয়াইট হাউসের নীরব সম্মতি রয়েছে, এবং এক ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এই দীর্ঘমেয়াদি সময়সীমা নিয়ে একমত’।
এক মার্কিন কর্মকর্তার ভাষ্য অনুযায়ী, ‘ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বাস করে, এই সংকটের সমাধান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। তবে সংঘাত কতটা দীর্ঘ হবে, তা নির্ভর করছে ইরানের প্রতিক্রিয়ার ওপর।