১১ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চীনের শিল্পখাতে যেভাবে বিপ্লব ঘটাবে এআই

নিজেস্ব প্রতিবেদক

চীন এখন দ্রুতগতির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে নানা শিল্পে কাজে লাগিয়ে শিল্প খাতে আধুনিকায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে চায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু চীনের উন্নয়নেই নয়, বরং বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোর জন্যও বড় বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানি আভিভার চীন শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছুই চিংই বলেন, ‘আমরা এআইকে মানবজাতির জন্য একটি উপকারী প্রযুক্তি মনে করি। এটি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও টেকসই ও দক্ষ হতে সাহায্য করছে।’

আভিভা জানিয়েছে, তারা চীনের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। এআই ও অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদনের মান বাড়ানো, খরচ কমানো এবং শক্তি সাশ্রয়ে সহায়তা করবে।

সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সালের মধ্যে চীনের এআই বাজারের আকার দাঁড়াবে ১.৭৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ানে, যা বৈশ্বিক মোটের ৩০.৬ শতাংশ।

রোল্যান্ড বারজার-এর গ্লোবাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেনিস ডেপু বলেন, “চীনা কোম্পানিগুলো প্রযুক্তি গ্রহণে খুব দক্ষ। তারা এআই’কে বাস্তবে কাজে লাগাতে জানে। এটা বৈশ্বিক বাজারে তাদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, চীনের প্রায় সব লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলই ওপেন সোর্স, যা বিদেশি কোম্পানিগুলোর জন্য কাজে লাগানো সহজ।

বোস্টন কনসালটিং গ্রুপের গবেষণা বলছে, চীন এআই গ্রহণে অগ্রগামী পাঁচটি দেশের একটি। চীনের কোম্পানিগুলো বিশেষ করে জেনারেটিভ এআইতে বড় বিনিয়োগ করছে। ২০২৫ সালে চীনের ৮৭% কোম্পানি এআই’তে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। ৬৩% কর্মী ইতোমধ্যে এআই টুল ব্যবহার করছেন, প্রধানত ডেটা বিশ্লেষণের জন্য।

অ্যাসেনচারের তথ্য অনুসারে, এআই খাতে চীনের বর্তমান বিনিয়োগ মূলত প্ল্যাটফর্ম, ক্লাউড ও ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের ওপর ভিত্তি করে।

দিলোইট চায়নার প্রধান অর্থনীতিবিদ সিটাও শু জানান, ২০২৪ সালে চীনের এআই খাতের আকার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩১৯.৪ বিলিয়ন ইউয়ানে। এই প্রযুক্তি এখন উৎপাদন, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যাংকিং, রিটেইল ও লজিস্টিকসসহ নানা খাতে ব্যবহৃত হচ্ছে।

জার্মান কোম্পানি বশ-এর চেয়ারম্যান স্টেফান হার্টুং বলেন, “আমাদের চীনা সহকর্মীরা এআই প্রযুক্তি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করছে। স্বচালিত গাড়ি, স্মার্ট হোম পণ্য, ও ফ্যাক্টরি অটোমেশন খাতে আমরা এআই ব্যবহার করছি।’

এআই শুধু কাজের গতি ও দক্ষতাই বাড়াচ্ছে না, বরং নতুন বাজার ও প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রও তৈরি করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে এআই বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ১৯.৯ ট্রিলিয়ন ডলার অবদান রাখবে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন।

যে ৪ কারণে জাম খাবেন

মেট্রোরেলের যাত্রীদের মাস্ক পরার অনুরোধ

নিজেকে খুন করার জন্য ‘কিলার’ ভাড়া করেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা, কিন্তু কেন?

গরম কবে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

ড. ইউনূস-নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের সম্ভাবনা

গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের দেহেই পাওয়া গেল করোনা

শাকিব খানকে পেয়েছি, এটা আমার জন্য স্পেশাল

‘অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক’