নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস চারটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন, বাণিজ্যিক সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট ও নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী এসব বৈঠকের মধ্যে অন্যতম ছিল ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে বৈঠক। বৈঠকে ড. ইউনূস বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আহ্বান জানালে ইতালির প্রধানমন্ত্রী “ইতালি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম” গঠনের প্রস্তাব দেন। তিনি একইসঙ্গে ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠিতব্য রোহিঙ্গা সম্মেলনে ইতালির পক্ষ থেকে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠানোর নিশ্চয়তা দেন।
এছাড়া ড. ইউনূস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এবং কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভজোস্যা ওসমানি-র সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন। ফিনল্যান্ড ও ইতালি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রাণহানিতে সমবেদনা জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং প্রস্তাবিত ১১টি নির্বাচন কমিশন সংস্কার দেশকে অর্থবহ রাজনৈতিক রূপান্তরের পথে এগিয়ে নেবে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাকে অন্তর্বর্তী মেয়াদে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রেস সচিবের মতে, কসোভো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ হলেও বর্তমানে ইউরোপের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির অন্যতম। এই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতার সুযোগ খোঁজার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
একই দিন ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ এক্সিকিউটিভ বিজনেস রাউন্ডটেবিল-এ অংশ নেন, যেখানে মেটলাইফ, শেভরন, এক্সেলেরেট এনার্জিসহ বড় কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ড. ইউনূস নেদারল্যান্ডস, বতসোয়ানা ও আলবেনিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।